মহিলারা কি পুরুষদের নামাযের ইমামতি করতে পারবে ?

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম! মহিলারা কি পুরুষদের নামাযের ইমামতি করতে পারবে ?

উত্তরঃ

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ

ইসলামী শরীয়তে নারীর উপর পুরুষের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়েছে। তাই পুরুষরা নারীর উপর কর্তৃত্ব করবে। অতএব নামায পড়ানোর দায়িত্ব তথা ইমামতি যেহেতু এক প্রকারের নেতৃত্ব, তাই মহিলাদের এ পদে নিযুক্ত করা হারাম। সুতরাং একজন মহিলা একজন পুরুষের নামাযের ইমামতি করতে পারবে না। এতদসত্ত্বেও যদি কেউ করে তাহলে পুরুষের নামায হবে না। চাই নামায ফরয হোক কিংবা নফল। কোন মহিলা যত যোগ্যতা সম্পন্ন হোক না কেন সে কখনো পুরুষের ইমাম হতে পারবে না। কারণ এ বিষয়ে কুরআন হাদীসে কোন নির্দেশনা নেই এবং সাহাবায়ে কেরামের যুগেও এর কোন প্রচলন ছিল না। বরং নিম্নোক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, মহিলারা পুরুষদের ইমাম হতে পারবে না।

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ

১.অর্থ: পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। (সূরা নিসা আয়াত নং ৩৪)

قال “لن يفلح قوم ولوا أمرهم امرأة ”

২.অর্থ: আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, সে জাতি কোন দিন সফল হবে না, যে জাতি তাদের একজন মহিলাকে নেতৃত্বদানকারী বানায়। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪৪২৫ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ২২৬২ হাদীসের মান: সহীহ)

مَنْ تَابَ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَلاَ لاَ تَؤُمَّنَّ امْرَأَةٌ رَجُلاً وَلاَ يَؤُمَّنَّ أَعْرَابِيٌّ مُهَاجِرًا وَلاَ يَؤُمَّ فَاجِرٌ مُؤْمِنًا إِلاَّ أَنْ يَقْهَرَهُ بِسُلْطَانٍ يَخَافُ سَيْفَهُ وَسَوْطَهُ ‏.‏

৩.অর্থ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,যে ব্যক্তি তাওবা করে, আল্লাহ্ তা’আলা তার তাওবা কবুল করেন। সাবধান! কোন মহিলা কোন পুরুষের কোন বেদুঈন কোন মুহাজিরের এবং কোন পাপাচারী কোন মুমিন ব্যক্তির ইমামতি করবে না। তবে তা যদি বাদশাহের ফরমান হয় এবং তার তরবারি ও চাবুকের ভয় থাকে, তাহলে ভিন্ন কথা। (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ১০৮১ হাদীসের মান: সহীহ)

মোটকথা মহিলারা পুরুষের ইমামতি করতে পারবে না। কারণ কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াস দ্বারা মহিলাদের ইমামতির বৈধতা প্রমাণিত নয়। এছাড়াও সাহাবী ও তাবেয়ীদের যুগেও কোন মহিলার পুরুষের ইমামতি করার প্রমাণ পাওয়া যায় না। ইদানীং আমেরিকা ভারত ও ইন্দোনেশিয়াতে মহিলাদের ইমামতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। যা ইসলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র এবং চরম ধৃষ্টতার শামিল। তাই এই ফিতনাকে সূচনাতেই শক্তভাবে প্রতিরোধ করা জরুরী।

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- জিয়াউর রহমান।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।

Share This Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *