নামাযে ইমামের ভুল হলে কী বলে মুক্তাদীরা সতর্ক করবে ?

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম! নামাযে ইমামের ভুল হলে মুক্তাদীরা কী বলে সতর্ক করবে ? দলিলসহ জানালে উপকৃত হতাম।

উত্তরঃ

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ

যদি জামাতে নামায পড়ার সময় ইমামের ফরয কিংবা ওয়াজিবে কোন ভুল হয়। অথবা অন্য কোন সমস্যা হয় তাহলে পুরুষ মুক্তাদীগণ উচ্চস্বরে সুবাহানাল্লাহ বলে ইমামকে লুকমা দিবে বা সতর্ক করবে। কেননা হাদীস ও ফিকহের কিতাবাদিতে সুবহানাল্লাহ বলে লুকমা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটিই সুন্নত। অতএব কোন ভুলের ব্যাপারে ইমামকে সতর্ক করতে চাইলে আল্লাহু আকবার না বলে সুবহানাল্লাহ বলাই উত্তম। অবশ্য আল্লাহু আকবার বলে ইমামকে সতর্ক করাও জায়েয আছ। আর মহিলা মুক্তাদীগণ মুখে কোন শব্দ না করে ডান হাত বাম হাতের পিঠে মেরে শব্দ করে ইমামকে সতর্ক করবে।

فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا لَكُمْ حِينَ نَابَكُمْ شَىْءٌ فِي الصَّلاَةِ أَخَذْتُمْ فِي التَّصْفِيقِ، إِنَّمَا التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ، مَنْ نَابَهُ شَىْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ

১.অর্থ: নবী (সা.) নামায শেষ করে লোকদের দিকে ফিরে বললেন, হে লোক সকল! তোমাদের কি হলো যে নামাযে কোন সমস্যা দেখা দিলে তোমরা হাত তালি দিতে আরম্ভ কর? হাত তালি দেওয়া তো মেয়েদের জন্য। নামাযে কারো কোন সমস্যা দেখা দিলে সে যেন সুবাহানাল্লাহ বলে। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ১২৩৪ সুনানে নাসাঈ ৭৮৪ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ وَالتَّصْفِيحُ لِلنِّسَاءِ

২.অর্থ: সাহাল ইবনে সা‘দ (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, নামাযে (লুকমা দেয়ার জন্য) পুরুষদের জন্য তাসবীহ আর মহিলাদের জন্য তাসফীক তথা হাতের পিঠে শব্দ করবে।(সহীহ বুখারী হাদীস নং ১২০৪ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৮৩৮ হাদীসের মান: সহীহ)

উক্ত হাদীসে নামাযরত অবস্থায় পুরুষের জন্য সতর্ক করার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে তাসবীহকে আর তাসবীহের মাঝে সুবানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহু আকবার, সবই শামিল। তাই ইমাম কোন ভুল করলে তাকে সুবাহানাল্লাহ ছাড়াও যে কোন প্রকারের তাসবীহ বলে সতর্ক করাও জায়েয আছে। যারা বলে আল্লাহু আকবার বলে লুকমা দেওয়ার পক্ষে কোন দলিল নেই। তাদের এ বক্তব্য উল্লেখিত হাদীসের মর্ম বিরোধী তাই এই বক্তব্য পরিত্যাজ্য।

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- মোহাম্মদ শাহিন।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।