দলিলসহ তায়াম্মুম করার সঠিক নিয়ম।

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম ! কুরআন ও সহীহ হাদীসের রেফারেন্সসহ তায়াম্মুমের সঠিক নিয়ম জানতে চাই ?

উত্তরঃ

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ

কোন বিশেষ কারণে অযু বা গোসল না করতে পারলে, পবিত্রতা অর্জনের বিকল্প ব্যবস্থা হলো তায়াম্মুম করা। অযুর যেমন নির্দিষ্ট নিয়ম আছে তেমনি ভাবে তায়াম্মুমেরও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। নিম্নে কুরআন ও সহীহ হাদীসের দলিলসহ সঠিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো।

১.মনে মনে তায়াম্মুমের নিয়ত করা।

وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰہَ مُخۡلِصِیۡنَ لَہُ الدِّیۡنَ

অর্থ: আর তাদেরকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল
যে, তারা যেন আল্লাহর আনুগত্যে খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদাত করে। (সূরা বায়্যিনা: আয়াত নং ৫)

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ

অর্থ: যদি তোমরা অপবিত্র থাক তাহলে ভালো ভাবে পবিত্র হও। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব পায়খানা সেরে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রী সহবাস করে থাক, অতঃপর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। অর্থাৎ তোমাদের মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাটি দ্বারা মাসাহ করো। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান। (সূরা মায়েদা আয়াত নং ৬)

২. তায়াম্মুমের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা।

عَنْ أَنَسٍ، قَالَ طَلَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَضُوءًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلْ مَعَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مَاءٌ ” . فَوَضَعَ يَدَهُ فِي الْمَاءِ وَيَقُولُ ” تَوَضَّئُوا بِسْمِ اللَّهِ ” . فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ حَتَّى تَوَضَّئُوا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ . قَالَ ثَابِتٌ قُلْتُ لأَنَسٍ كَمْ تُرَاهُمْ قَالَ نَحْوًا مِنْ سَبْعِينَ

অর্থ: আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (কোন এক সফরে) নবী (ﷺ) এর কয়েকজন সাহাবী পানি তালাশ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের কারো নিকট পানি আছে কি ? (একজন পানি এনে দিলে) তিনি পানিতে হাত রাখলেন এবং বললেন, বিসমিল্লাহ বলে উযু করো। আমি তাঁর আঙ্গুলের ফাঁক থেকে পানি বের হতে দেখলাম। তাঁদের সর্বশেষ ব্যক্তিসহ সকলেই এই পানিতে উযু করেন। সাবিত (রহ.) বলেন, আমি আনাস (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি উপস্থিত লোকের সংখ্যা কত মনে করেন ? তিনি বললেন, সত্তরজনের মত। (ইফা.সুনানে নাসায়ী,হাদীস নং ৭৮ হাদীসের মান: সহীহ)

৩.মাটি বা মাটি জাতীয় কোন পবিত্র জিনিসে উভয় হাত রাখার পর হস্তদ্বয় সামান্য আগে পিছে টেনে নেওয়া।

عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، حِينَ تَيَمَّمُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَمَرَ الْمُسْلِمِينَ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ التُّرَابَ وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا فَمَسَحُوا بِوُجُوهِهِمْ مَسْحَةً وَاحِدَةً ثُمَّ عَادُوا فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ مَرَّةً أُخْرَى فَمَسَحُوا بِأَيْدِيهِمْ ‏.‏

অর্থ: আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) বর্ণিত আছে, যখন মুসলিমরা রসূলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে তায়াম্মুম করেন, তখন তিনি মুসলিমদের নির্দেশ দিলে তারা তাদের হাতের তালু দ্বারা মাটিতে আঘাত করেন, কিন্তু মাটি থেকে কিছুই নেননি। এরপর তারা তাদের মুখমণ্ডল একবার মাসাহ করেন। তারা পুনরায় তাদের হাতের তালু দ্বারা মাটিতে আঘাত করেন এবং তাদের উভয় হাত মাসাহ করেন। (ইফা. সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৫৭১ হাদীসের মান: সহীহ)

৪. তারপর উভয় হাত ঝেড়ে নেওয়া।

فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ عَمَّارٍ لِعُمَرَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ فَأَجْنَبْتُ، فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ، فَتَمَرَّغْتُ فِي الصَّعِيدِ كَمَا تَمَرَّغُ الدَّابَّةُ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَصْنَعَ هَكَذَا “. فَضَرَبَ بِكَفِّهِ ضَرْبَةً عَلَى الأَرْضِ ثُمَّ نَفَضَهَا، ثُمَّ مَسَحَ بِهَا ظَهْرَ كَفِّهِ بِشِمَالِهِ، أَوْ ظَهْرَ شِمَالِهِ بِكَفِّهِ، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ

অর্থ: আবু মূসা (রা.) বলেন, আপনি কি উমর ইবনে খাত্তব (রা.)-এর সম্মুখে ‘আম্মার (রা.)-এর এ কথা শোনেননি যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটা প্রয়োজনে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। সফরে আমি অপবিত্র হয়ে পড়লাম এবং পানি পেলাম না। এজন্য আমি জন্তুর মত মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেন, তোমার জন্য তো এতুকুই যথেষ্ট ছিল এই বলে তিনি দুই হাত মাটিতে মারলেন। তারপর তা ঝেড়ে নিলেন এবং তা দিয়ে তিনি বাম হাতে ডান হাতের পিঠ মাসাহ করলেন কিংবা রাবী বলেছেন,বাম হাতের পিঠ ডান হাতে মাসাহ করলেন। তারপর হাত দুটো দিয়ে তাঁর মুখমণ্ডল মাসাহ করলেন। (ইফা. সহীহ বুখারী হাদীস নং ৩৪০ হাদীসের মান: সহীহ)

৫. প্রথমবার হাত মেরে সমস্ত মুখমণ্ডল মাসাহ‌ করা।

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ

অর্থ: যদি তোমরা অপবিত্র থাক তাহলে ভালো ভাবে পবিত্র হও। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা সেরে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রী সহবাস করে থাক,অতঃপর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। অর্থাৎ তোমাদের মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাটি দ্বারা মাসাহ করো। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান। (সূরা মায়েদা আয়াত নং ৬)

৬. দ্বিতীয়বার মাটিতে হাত মেরে দুই হাত কনুইসহ মাসাহ‌ করা।

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَفُوًّا غَفُوۡرًا

অর্থ: আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা সেরে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রী সহবাস করে থাক, অতঃপর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। অর্থাৎ তোমাদের মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাটি দ্বারা মাসাহ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপ মোচনকারী ক্ষমাশীল। (সূরা নিসা আয়াত নং ৪৩)

عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يَتَيَمَّمُ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏.‏ وَسُئِلَ مَالِكٌ كَيْفَ التَّيَمُّمُ وَأَيْنَ يَبْلُغُ بِهِ فَقَالَ يَضْرِبُ ضَرْبَةً لِلْوَجْهِ وَضَرْبَةً لِلْيَدَيْنِ وَيَمْسَحُهُمَا إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏

অর্থ: নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত: আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা.) তায়াম্মুমে দুই হাতের উভয় কনুই পর্যন্ত মাসাহ করতেন। মালিক (রহ.)-কে প্রশ্ন করা হল তায়াম্মুম কিভাবে এবং (দুই হাতে তায়াম্মুম করার সময়) কোন স্থান পর্যন্ত তা পৌঁছাবে ? তিনি (উত্তরে) বললেন, একবার মাটিতে হাত রাখবে মুখমণ্ডলের জন্য আর একবার মাটিতে হাত রাখবে দুই হাতের জন্য এবং দুই হাত উভয় কনুই পর্যন্ত মাসাহ করবে। (মুয়াত্তা মালেক হাদীস নং ১২১ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَ : التَّيَمُّمُ ضَرْبَتَانِ : ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ ، وَضَرْبَةٌ لِلْيَدَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ”

অর্থ: ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে দুইবার হাত মারতে হয়। একবার মুখমণ্ডলের জন্য, আরেকবার দুই হাত কনুই পর্যন্তের জন্য। (সুনানে দারাকুতনী হাদীস নং ৬৬০ সুনানে কুবরা লিল বায়হাকী হাদীস নং ৯৯৭ হাদীসের মান: সহীহ)

তাহকীক: আল্লামা জারুল্লাহ সাদী (রহ.) বলেন, হাদীসটি সহীহ। আবু আলী নিসাবুরী বলেন,তার মধ্যে কোন সমস্যা নেই। (আননাওয়াফেউল আতরাহ ১১০ মাযমাউয যাওয়ায়েদ ১ /২৬৭)

৭.তায়াম্মুমে অঙ্গ-সমূহ মাসাহ‌ করার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। অর্থাৎ প্রথমে সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল, এরপর বাম হাত দ্বারা ডান হাত তারপর ডান হাত দ্বারা বাম হাত কনুইসহ মাসাহ‌ করা।

عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، حِينَ تَيَمَّمُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَمَرَ الْمُسْلِمِينَ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ التُّرَابَ وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا فَمَسَحُوا بِوُجُوهِهِمْ مَسْحَةً وَاحِدَةً ثُمَّ عَادُوا فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ مَرَّةً أُخْرَى فَمَسَحُوا بِأَيْدِيهِمْ ‏.‏

অর্থ: আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) বর্ণিত আছে, যখন মুসলিমরা রসূলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে তায়াম্মুম করেন, তখন তিনি মুসলিমদের নির্দেশ দিলে তারা তাদের হাতের তালু দ্বারা মাটিতে আঘাত করেন, কিন্তু মাটি থেকে কিছুই নেননি। এরপর তারা তাদের মুখমণ্ডল একবার মাসাহ করেন। তারা পুনরায় তাদের হাতের তালু দ্বারা মাটিতে আঘাত করেন এবং তাদের উভয় হাত মাসাহ করেন। (ইফা. সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৫৭১ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ قَامَ الْمُسْلِمُونَ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ التُّرَابَ وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَنَاكِبَ وَالآبَاطَ . قَالَ ابْنُ اللَّيْثِ إِلَى مَا فَوْقَ الْمِرْفَقَيْنِ

অর্থ: আম্মার (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, একদা মুসলমানগণ তায়াম্মুমের উদ্দেশ্যে তাদের হাত মাটির উপর মারেন এবং হাতে মাটি নিলেন না। অতঃপর তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং এই হাদীসে কাঁধ ও বগল পর্যন্ত হাত মাসাহ্ করা সম্পর্কে উল্লেখ করেননি। (বরং প্রথমে মুখমণ্ডল একবার মাসাহ্ করেন)। ইবনে লাইস বলেন, সাহাবীগণ দ্বিতীয়বার দুই হাতের কনুইয়ের উপর পর্যন্ত মাসাহ্ করেন। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৩১৯ হাদীসের মান: সহীহ)

৮. চেহারা ও হাত মাসাহের মাঝে বিলম্ব না করা।

فَقَالَ أَبُو الْجُهَيْمِ أَقْبَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَحْوِ بِئْرِ جَمَلٍ، فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الْجِدَارِ، فَمَسَحَ بِوَجْهِهِ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ

অর্থ: আবু জুহাইম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) (মদীনার নিকটস্থ) ‘বিরে জামাল’ থেকে আসছিলেন। পথিমধ্যে তার সাথে এক ব্যক্তির দেখা হল। লোকটি তাকে সালাম দিলেন। নবী (ﷺ) জওয়াব না দিয়ে দেওয়ালের কাছে অগ্রসর হয়ে তাতে (হাত মেরে) নিজ চেহারা ও উভয় হাত মাসাহ করে নিলেন, তারপর সালামের জওয়াব দিলেন। (ইফা. সহীহ বুখারী হাদীস নং ৩৩০ হাদীসের মান: সহীহ)

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে উল্লেখিত নিয়মে তায়াম্মুম করার তাওফীক দান করুন আমীন!

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- আব্দুল মুমিন আজাদ।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।

Share This Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *