খুব ক্ষুধা লাগলে আগে খাবার খেয়ে পরে নামায পড়া যাবে কি ?
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম! নামাযের সময়ে খুব ক্ষুধা লাগলে আগে খাবার খেয়ে পরে নামায পড়া যাবে কি?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাবার উপস্থিত থাকলে এবং তৎক্ষণাৎ খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে খাবার না খেয়ে নামায আদায় করা মাকরূহ। কেননা এতে নামাযের মধ্যে একাগ্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। আর যদি পেটে অত্যন্ত ক্ষুধা থাকা অবস্থায় খাবার না খেয়ে নামায পড়া হয়। তাহলে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা নিশ্চিতভাবে অধিকহারে বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় আগে খাবার খেয়ে পরে শান্তির সাথে নামায আদায় করা উত্তম। কেননা এরূপ বিচলিত অবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ। অবশ্য খাবার খেতে গেলে যদি নামাযের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকা হয়। তাহলে আগে নামায আদায় করে পরে খাবার খেতে হবে।
إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ صَلاَةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلاَ وَهُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ ”
১.অর্থ: আয়েশা (রা.) বলেন আমি রসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি খাবার সামনে আসার পর (তা না খাওয়া পর্যন্ত) কোনও নামায নেই এবং পেশাব পায়খানার বেগ থাকা অবস্থায়ও (তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত) কোন নামায নেই। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৬০ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৮৯ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ وَلاَ يَعْجَلَنَّ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهُ ”
২.অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কারো সামনে রাতের খাবার রাখা হয়, ওদিকে নামাযের ইকামত শুরু হয়ে যায়, তখন সে প্রথমে খাবার খেয়ে নিবে। খাবার শেষ না করে নামাযের জন্য তাড়াহুড়া করবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৭১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৫৯ হাদীসের মান: সহীহ)
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষুধা নিবারণ করেই নামায শুরু করা উচিত। যদি বেশি ক্ষুধা ও তৃষ্ণা নিয়ে নামাযে দাঁড়ানো হয়। তাহলে নিশ্চিতভাবেই নামাযের মধ্যে বারবার খাবারের কথা স্মরণ হবে। যার কারণে নামাযের খুশু-খুজু নষ্ট হয়ে যাবে। তাই উত্তম হলো ক্ষুধা পেলে আগে খাবার খেয়ে তারপর প্রশান্তির সাথে নামাযে দাঁড়ানো।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- সিদ্দিকুর রহমান।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply