প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম! চোখে প্রচন্ড ঘুম থাকা অবস্থায় নামায পড়া যাবে কি ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
চোখে ঘুম থাকা অবস্থায় নফল বা অন্য কোন নামায আদায় করা মাকরূহ। কেননা ঘুমের চাপ নিয়ে নামায আদায় করলে সূরা কিরাত ও দু’আ দরুদে মারাত্মক ভুল হতে পারে। এ ছাড়াও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শারীরিক বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এই কারণে নামায শুরু করার পর চোখে ঘুম চলে আসলে সংক্ষেপে নামায শেষ করে শুয়ে পড়বে। আর যদি ফরয নামায শুরু করার আগেই প্রচন্ড ঘুম আসে এবং নামাযের সময় কম থাকে। তাহলে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছোট কিরাত দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়ে নিবে। কিন্তু নফল নামায হলে পড়া থেকে বিরত থাকবে।
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبُّ نَفْسَهُ ”
১.অর্থ: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ নামাযে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে যেন ঘুমের রেশ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ঘুমিয়ে নেয়। কেননা তোমাদের কেউ যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নামায আদায় করবে তখন এমন হতে পারে যে, সে ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাইবে, অথচ সে নিজেকে গালি দিয়ে বসবে। (দুআ করতে গিয়ে বদ দুআ করে ফেলবে।) (সহীহ বুখারী হাদীস নং ২১২ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৭৮৬ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَنَمْ حَتَّى يَعْلَمَ مَا يَقْرَأُ ”
২.অর্থ: আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ যদি নামাযে ঝিমায়, সে যেন ততক্ষণ ঘুমিয়ে নেয়, যতক্ষণ না সে কি পড়ছে, তা বুঝতে পারে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৩ হাদীসের মান: সহীহ)
মোটকথা ঘুমের চাপ খুব বেশি হলে এবং নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার আশঙ্ক হলে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিবে। এই অবস্থায় নামায পড়া উচিত নয় কেউ পড়লে নামায মাকরূহ হবে। তবে নামাযে সামান্য ঝিমুনি আসলে নামায মাকরূহ হবে না। যদি ফরয নামাযের সময় সংকীর্ণ হয় তাহলে যেভাবেই হোক ঘুম দূর করে নামায পড়ে নিতে হবে।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে-মিফতা ইসলাম আব্দুর রহিম।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply