ছেলেদের কত বছর বয়সে মুসলমানি করানো উচিত ?

প্রশ্ন:

আসসালামু আলাইকুম! আমার ছেলের বয়স ৭ বছর তার কখন খতনা করাবো ? ছেলেদের কত বছর বয়সে খতনা করানো উচিত জানালে খুশি হবো ?

উত্তরঃ

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ

ইসলামী শরীয়তে খতনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এটি ইসলামের মৌলিক নিদর্শনের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত। তবে খতনা করার নির্ধারিত কোনো বয়স নেই। কিন্তু অধিকাংশ ইসলামী বিশেষজ্ঞের মতে, শিশু বালেগ হওয়ার আগেই ৭ থেকে ১০ বছর অনুর্ধ্ব ১২ বছরের ভিতরে খতনা করিয়ে নেওয়া উত্তম। যদি কারো বালেগ হওয়ার আগে খতনা না করা হয়। অথবা বালেগ হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খতনা করা উচিত। (আলবাহরুর রায়েক ৭/৯৫-৯৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/১৩২)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً بِالقَدُّومِ»

১.অর্থ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নবী ইবরাহীম (আ.) সূত্রধরদের অস্ত্র দ্বারা নিজের খাতনা করেছিলেন এবং তখন তাঁর বয়স ছিল আশি বছর। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩৫৬ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯২৮ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” الفِطْرَةُ خَمْسٌ: الخِتَانُ، وَالِاسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبْطِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ ”

২.অর্থ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষের স্বভাবগত বিষয় হল পাঁচটিঃ খাতনা করা, নাভির নীচের পশম কামানো, বগলের পশম উপড়ানো, গোঁফ কাটা এবং নখ কাটা। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৯৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৭ হাদীসের মান: সহীহ)

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَابْ
উত্তর প্রদানে-মোঃ জিকিরুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীঃ মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শায়েখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।

Share This Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *