প্রশ্ন:
আসসালামু আলাইকুম! সম্মানিত মুফতী সাহেব! আমার মুখে অল্প কয়েকটি দাড়ি হয়েছে। আমি যদি ঘন দাড়ি উঠানোর জন্য সেভ করি জায়েয হবে কি ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
প্রত্যেক পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ওয়াজিব। দাড়ি কাটা, ছাঁটা, মুণ্ডন করা হারাম এবং কবীরা গোনাহ। দাড়ি কম হোক বা বেশি হোক পাতলা হোক বা ঘন হোক সর্বাবস্থায় এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা আবশ্যক। এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেউ চাইলে কেটে ফেলতে পারবে। কিন্তু দাড়ি ঘন হয়ে উঠার জন্য শেভ করা জায়েয নেই। অনেকের ধারণা দাড়ি শেভ করলে দাড়ি ঘন হয়। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং ইসলামী শরীয়তেও অনুমোদন নেই।
قَالَ يَا ابْنَ أُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِي
১.অর্থ: তিনি বললেন, হে আমার আপন ভাই! আপনি আমার দাড়ি ধরবেন না। (সূরা তহা: আয়াত নং ৯৪)
ব্যাখ্যা: উক্ত আয়াতে হারুন (আ.) এর ঘটনায় দাড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। এ আয়াত দ্বারা একথা বুঝা যায় যে, হারুন (আ.) এর দাড়ি এক মুষ্টির চেয়ে কম ছিল না। কারণ এক মুষ্টির চেয়ে কম দাড়িতে মুঠ করে ধরা যায় না। সুতরাং কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা আবশ্যক তা প্রমাণিত হয়ে গেল।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” خَالِفُوا المُشْرِكِينَ: وَفِّرُوا اللِّحَى، وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ ” وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ: «إِذَا حَجَّ أَوِ اعْتَمَرَ قَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ، فَمَا فَضَلَ أَخَذَهُ»
২.অর্থ: ইবনে উমর (রা.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে; দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। ইবনে উমর (রা.) যখন হজ্জ বা উমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়ি খাট করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু অতিরিক্ত থাকত, তা কেটে ফেলতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৯২ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২৫৯ হাদীসের মান: সহীহ)
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَابْ
উত্তর প্রদানে-আ: জলিল।
শিক্ষার্থীঃ মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শায়েখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply