প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম! হুজুর আমার হাত, পা ও বুকে প্রচুর পশম এখন আমার প্রশ্ন হলো, পুরুষ ও মহিলারা কি তাদের হাত, পা এবং বুকের পশম কাটতে পারবে ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
পুরুষ ও নারীর হাত,পা,বুক এবং কানের পশমের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা কুরআন এবং হাদীসে আসেনি। তাই কারো যদি হাত,পা,বুক এবং কানের পশম বেশি হওয়ার কারণে দেখতে বিশ্রী দেখা যায়। তাহলে সেক্ষেত্রে সেটিকে উপড়ে ফেলা বা মুণ্ডন করে ফেলা জায়েয আছে। আর যদি নরমাল বা সাধারণ হয়ে থাকে তাহলে উত্তম হচ্ছে যে অবস্থায় লোমগুলো আছে সে অবস্থায় ছেড়ে দেয়া। কারণ, আল্লাহ্ তা’আলা যদিও এখানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেননি তারপরেও স্বাভাবিক অবস্থা হলে আল্লাহ্ তা’আলার সৃষ্টির মধ্যে কোনো রকম পরিবর্তন না করা। তাই উত্তম হচ্ছে এটি যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় ছেড়ে দেয়া। কিন্তু যেটা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত এবং সৌন্দর্যের পরিপন্থী সেক্ষেত্রে কেটে ফেলা জায়েয।
وَمَا كَانَ رَبُّك نَسِيَّا
১.অর্থ: আপনার রব এ ব্যাপারে ভুলে যাওয়ার নন। (সূরা মারইয়াম আয়াত নং ৬৪)
আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন শরীয়তের বিধান তো দূরের কথা বান্দার কোনো ব্যাপারেও গাফেল নন। তাই একথা সুস্পষ্ট যে আল্লাহ্ তা’আলা জেনেই এ ব্যাপারে চুপ ছিলেন; কোনো বিধান দেননি।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَقَذُّرًا فَبَعَثَ اللَّهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ وَأَنْزَلَ كِتَابَهُ وَأَحَلَّ حَلاَلَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ فَمَا أَحَلَّ فَهُوَ حَلاَلٌ وَمَا حَرَّمَ فَهُوَ حَرَامٌ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ عَفْوٌ
২. অর্থ: ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহ তাঁর নবী (সা.)-কে প্রেরণ করলেন এবং তাঁর কিতাব অবতীর্ণ করলেন এবং তাতে কিছু জিনিস হালাল করলেন ও কিছু জিনিস হারাম করলেন। তিনি যা হালাল করেছেন তা হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা হারাম। আর যেগুলো সম্পর্কে নীরব থেকেছেন তাতে ছাড় দেয়া হয়েছে। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৮১২ হাদীসের মান: সহীহ)
মোট কথা যে পশমের ক্ষেত্রে শরীয়ত কর্তৃক আদেশ- নিষেধ কোনটাই আসেনি সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হলে রেখে দেওয়াই উত্তম আর অতিরিক্ত হলে বা সৌন্দর্য পরিপন্থী হলে কাটার বৈধতা আছে। কাজেই হাত,পা, বুক ও কানের পশম উল্লেখিত হুকুমেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- জিয়াউর রহমান।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply