প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম! আমার প্রশ্ন হলো, বহু মানুষকে দেখেছি তারা ঘুমানোর আগে চার কুল তথা সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীরে বুলিয়ে থাকেন। এর পক্ষে কোন সহীহ হাদীস আছে কি ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
রাতে ঘুমানোর আগে চার কুল তথা সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁক দিয়ে শরীরে হাত বুলানোর বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যা হাদীসের কিতাবগুলোতে লিপিবদ্ধ রয়েছে যেমন:-
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) وَ(قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ(قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ
১. অর্থ: হযরত আয়েশা (রাযি.) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রতি রাতে রাসূল (ﷺ) ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দু’হাত একত্রিত করে হাতে ফুঁক দিয়ে সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে শুরু করে তাঁর দেহের সম্মুখভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার করে এরূপ করতেন। (ইফা.সহীহ বুখারী হাদীস নং ৪৬৫২ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৪৯৭২ উভয় হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِنَوْفَلٍ ” اقْرَأْ ( قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ “
২. অর্থ: ফারওয়া বিন নওফল (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ একদা নবী (ﷺ) তাকে বলেনঃ তুমি শোবার সময় সূরা কাফিরুন তিলাওয়াত করবে। কেননা, এ সূরা শিরক থেকে মুক্তকারী। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৪৯৭১ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ৩৪০৩ উভয় হাদীসের মান: সহীহ)
উপরোক্ত হাদীস-সমূহের আলোকে আমরা জানতে পারলাম যে, প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে চার কুল পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীরে হাত বুলানোর বিষয়টি কোন মনগড়া বিষয় নয়। বরং এটা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত চমৎকার একটি আমল।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- আরিফুল ইসলাম।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply