ইসলামী শরীয়তে মিসওয়াক করার গুরুত্ব ও ফযীলত অনেক। এ বিষয়ে নিম্নে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করা হল।
(১) আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের উপর আমি যদি কঠিন মনে না করতাম। তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় অযু করার আদেশ করতাম এবং প্রত্যেক অযুর সাথে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (ইফা. সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৪৮২ সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং ২০০ মুসনাদে আহমদ হাদীস নং ৭৪১২ হাদীসের মান: সহীহ)
(২) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি মিসওয়াক করার ব্যাপারে তোমাদের সর্বাধিক উৎসাহিত করছি। (ইফা. সহীহ বুখারী হাদীস নং ৮৪৪ সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ৬ হাদীসের মান: সহীহ)
(৩) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সা.) বলেছেন, মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উপায়। (ইফা. সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ৫ মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস নং ৩৮১ হাদীসের মান: সহীহ)
(৪) আলী (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি মিসওয়াক করার আদেশ দিয়ে বলতেন, নবী (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় বান্দা যখন মিসওয়াক করে, অপঃপর দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে, তখন তার পিছনে একজন ফেরেশতা দাঁড়ায়। অতঃপর মনোযোগ দিয়ে তার কিরাত শুনতে থাকে। তারপর ফেরেশতা তার অতি নিকটবর্তী হয়। এমনকি ফেরেশতার মুখ তার মুখের উপর রাখে। তখন তার মুখ থেকে কুরআনের যা কিছুই তিলাওয়াত বের হয়,তা ফেরেশতার পেটে প্রবেশ করে। সুতরাং তোমরা কুরআন তিলাওয়াতের জন্য মুখ পরিষ্কার রাখো। (ইফা. সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ২৯১ মুসনাদে বাযযার হাদীস নং ৬০৩ হাদীসের মান: সহীহ)
Leave a Reply