প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম ! সফরে বা ঘরে নামাযের জামাত করলে কি আযান ইকামত দিতে হবে ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও নামাযের জামাত করলে মুকিম এবং মুসাফির উভয় প্রকার ব্যক্তিদের জন্য আযান ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব। অবশ্য আবাসে আযান ইকামত ছাড়া নামায পড়লে, তার জন্য মহল্লার মুয়াযযিনের আযান ইকামতই যথেষ্ট হবে।
عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا، ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا ”
১.অর্থ: মালেক ইবনে হুওয়াইরিস (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (ﷺ) বলেছেন, যখন নামাযের সময় হবে তখন তোমাদের দুইজনের একজন আযান এবং ইকামত দিবে। তারপর তোমাদের মধ্যে যে বয়সে অধিক বড় সে ইমামতি করবে। (ইফা. সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬২৫ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১৪১১ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنِ الأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، قَالاَ أَتَيْنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فِي دَارِهِ فَقَالَ أَصَلَّى هَؤُلاَءِ خَلْفَكُمْ فَقُلْنَا لاَ . قَالَ فَقُومُوا فَصَلُّوا . فَلَمْ يَأْمُرْنَا بِأَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ
২.অর্থ: আসওয়াদ ও আলকামা (রহ.) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, আমরা দু’জনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.)-এর বাসগৃহে উপস্থিত হলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের পিছনে যারা রয়েছে (অর্থাৎ শাসকগণ) তারা কি নামায আদায় করেছেন? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে ওঠ এবং নামায আদায় কর (কেননা, নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেছে এবং আমীর ও শাসকদের অপেক্ষায় নামায আদায়ে বিলম্ব করা যায় না) তিনি আমাদের আযান ও ইকামতের আদেশ দিলেন না। (ইফ.সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১০৭৪ সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ১০৩২ হাদীসের মান: সহীহ)
মোটকথা মসজিদের বাইরে বাসা অফিস থেকে শুরু করে সর্বস্থানে আযান ইকামত দিয়ে জামাত করা উত্তম। তবে যেখান থেকে মহল্লার মসজিদের আযান শোনা যায়। সেখানে আযান ইকামাতসহ জামাত না করলেও অসুবিধা নেই। এ ক্ষেত্রে মসজিদের আযান ইকামতই যথেষ্ট হবে।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- আতাউর রহমান।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply