প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম। ভুলে বিসমিল্লাহ ছাড়া কুরবানীর পশু জবাই করলে তা খাওয়া জায়েয হবে কি?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
কুরবানীসহ যে কোন হালাল পশু জবাই করার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া জরুরী। ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ ছাড়া পশু জবাই করলে তা খাওয়া হারাম হয়ে যাবে। তবে কেউ যদি ভুলে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। জবাইকৃত এই পশুর গোশত স্বাভাবিকভাবে নিজেরাও খেতে পারবে এবং অন্যরাও খেতে পারবে। উল্লেখ্য কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিসমিল্লাহ ছাড়া জবাই করলে। তার সমমূল্য দিয়ে আরেকটি কুরবানী দিতে হবে। অন্যথায় কুরবানী সহীহ হবে না এবং তার গোশত খাওয়া জায়েয হবে না।
وَلِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ
১.অর্থ: আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কুরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।
(সূরা হজ্জ: আয়াত নং ৩৪)
وَلَا تَاۡکُلُوۡا مِمَّا لَمۡ یُذۡکَرِ اسۡمُ اللّٰہِ عَلَیۡہِ وَاِنَّہٗ لَفِسۡقٌ
২.অর্থ: যে পশু (যবেহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, তা থেকে তোমরা ভক্ষণ করো না। এ ভক্ষণ করা গোনাহ। (সূরা আনআম: আয়াত নং ১২১)
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِیۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا
৩.অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই অথবা ভুল করি সেজন্য আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। (সূরা বাকারা: আয়াত নং ২৮৬)
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: ضَحَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ، ذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ، وَسَمَّى وَكَبَّرَ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا
৪.অর্থ: আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) দু’টি সাদা-কালো বর্ণের শিংবিশিষ্ট ভেড়া কুরবানী করেন। তিনি ভেড়া দু’টির পার্শ্বদেশে তার কদম মুবারক স্থাপন করে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে নিজ হাতেই সেই দু’টিকে যবেহ করেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৫৬৫ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯২৭ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
৫.অর্থ: আবু যর গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মতের ভুল-ভ্রান্তিসমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং সে কাজটিও ক্ষমা করে দিয়েছেন, যে কাজটি তাদের দ্বারা জোরপূর্বক করানো হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২০৪৩ মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং ৬২৯৩ হাদীসের মান: সহীহ)
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَابْ
উত্তর প্রদানে-আবদুর রাযযাক।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শায়েখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply