প্রশ্নঃআসসালামু আলাইকুম! পেশাব বা পায়খানার প্রবল চাপ নিয়ে নামায পড়া যাবে কি ? কেউ যদি প্রবল চাপ নিয়ে নামায পড়ে তাহলে সেই নামাযের বিধান কী ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
কেউ যদি পেশাব-পায়খানা অথবা বায়ুর প্রবল চাপ নিয়ে নামায পড়ে তাহলে নামায মাকরূহ হবে। কিন্তু এর দ্বারা নামায ভঙ্গ হবে না আবার পাপও হবে না। তবে এমন কাজ করা দোষণীয় না করা সওয়াবের কাজ। তাই কর্তব্য হলো এসব চাপ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ তৃপ্তি ও স্থীরতার সাথে নামায আদায় করা। যদি প্রয়োজন সারতে গেলে নামায কাযা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামায আদায় করে নিবে।
إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ صَلاَةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلاَ وَهُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ ”
১.অর্থ: আয়েশা (রা.) বলেন আমি রসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি খাবার সামনে আসার পর কোনও নামায নেই এবং পেশাব পায়খানার বেগ থাকা অবস্থায়ও (তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত) কোন নামায নেই। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৬০ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৯১ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ، قَالَ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَأَخَذَ بِيَدِ رَجُلٍ فَقَدَّمَهُ وَكَانَ إِمَامَ قَوْمِهِ وَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَوَجَدَ أَحَدُكُمُ الْخَلاَءَ فَلْيَبْدَأْ بِالْخَلاَءِ ”
২.অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম (রা.) ছিলেন তার কওমের ইমাম। একদিন ইকামত হওয়ার পর তিনি জনৈক মুসুল্লীকে হাত ধরে সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং বললেন রসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, ইকামত হয়ে যাওয়ার পর যদি তোমাদের কেউ শৌচাগারে গমনের প্রয়োজন অনুভব করে তবে তা আগে সেরে নিবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৮ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১৪২ হাদীসের মান: সহীহ)
উপরোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা জানতে পারলাম যে, পেশাব-পায়খানার প্রবল চাপ নিয়ে নামায আদায় করা উচিত নয়। কেননা এতে নামাযের একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যায়৷ এরপরেও যদি কেউ নামায আদায় করে তাহলে নামায মাকরূহের সাথে আদায় হয়ে যাবে। তবে নামায পুনরায় পড়া জরুরী নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে এরূপ করা থেকে বিরত থাকবে।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- তাজুল ইসলাম।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply