দুই ঈদের নামাযে কোন কিরাত পড়া সুন্নত ?

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম! আমার প্রশ্ন হলো ঈদের নামাযে কোন কিরাত পড়া সুন্নত ?

উত্তরঃ

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ

দুই ঈদের নামাযে সূরা ফাতিহার পর প্রথম রাকাতে সূরা আ’লা এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা গশিয়া অথবা প্রথম রাকাতে সূরা কফ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কমার তিলাওয়াত করা সুন্নত। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন কিরাতও পড়া যায়।

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَفِي الْجُمُعَةِ بِـ ( سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى) وَ ( هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ) قَالَ وَإِذَا اجْتَمَعَ الْعِيدُ وَالْجُمُعَةُ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ يَقْرَأُ بِهِمَا أَيْضًا فِي الصَّلاَتَيْنِ

১.অর্থ: নুমান ইবনে বাশীর (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ (সা.) দুই ঈদের নামাযে ও জুম’আর নামাযে (প্রথম রাকাতে) সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা এবং (দ্বিতীয় রাকাতে) হাল আতাকা হাদীসুল গশিয়াহ্‌ পাঠ করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঈদ ও জুম’আ একদিনে হলে তখনও তিনি ঐ দুইটি সূরা দুই নামাযেই পড়তেন। (সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৮৭৮ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ১১২২ হাদীসের মান: সহীহ)

عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَضْحَى وَالْفِطْرِ فَقَالَ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا بِـ ( ق وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ) وَ ( اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ)

২.অর্থ: উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত: উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) আবু ওয়াকিদ লায়সী (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে কোন সূরা পাঠ করতেন? তিনি বললেন, উভয় ঈদের নামাযে সূরা “কফ ওয়াল কুরানিল মাজীদ” এবং ইকতারাবাতিস সা’আতু “ওয়ান শাক্কাল কমার” তিলাওয়াত করতেন। (সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৮৯১ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ১১৫৪ হাদীসের মান: সহীহ)

উল্লেখিত হাদীসগুলো দ্বারা জানা গেল যে, রাসূল (ﷺ) সূরা আলা ও সূরা গশিয়া অথবা সূরা কফ ও সূরা কমার দ্বারা দুই ঈদের নামায আদায় করেছেন। সুতরাং এই সূরাগুলো দিয়ে ঈদের নামায আদায় করা সুন্নত। অবশ্য জামাতের মধ্যে কোন অসুস্থ, বৃদ্ধ ও দুর্বল লোক থাকলে অন্যান্য সূরা দিয়েও নামায আদায় করার সুযোগ আছে।

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- নাজিম উদ্দীন।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।

Share This Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *