প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম! অনেকে বলেন কোনো মানুষ জুমার দিন মারা গেলে কবরের আযাব হয় না এই কথা কি সত্য ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
কবরের আযাব কুরআনের আয়াত ও বিভিন্ন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তবে এক হাদীস দ্বারা জানা
যায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অথবা শুক্রবার
দিনে কোন মুসলমান মারা গেলে কবরের আযাব হয় না। এখন কবরের আযাব শুধু উল্লেখিত সময়ে বন্ধ থাকবে নাকি কিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তা নিশ্চিত বলা যায় না। তবে সেই মৃত ব্যক্তি যদি নেককার হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে আশা করা যায়। তিনি তাকে কবরের আযাব ও ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।
তাছাড়া জুমার দিনে কোন মুসলমানের মৃত্যু হলে সেটা নিঃসন্দেহে একটি শুভ সংকেত। আশা করা যায় সেই ব্যক্তি ভালো মৃত্যু বরণ করেছেন। এর ফলে তার আখেরাতের প্রথম ধাপ তথা কবর জগত সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ
১.অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন (মুমিন) মুসলমান ব্যক্তি যদি জুমআর দিনে অথবা জুমআর রাতে মৃত্যুবরণ করে তাহলে আল্লাহ তাকে কবরের শাস্তি হতে রক্ষা করেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১০৭৪ মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং ১৩৬৭ হাদীসের মান: হাসান)
عَنْ أَبِي لُبَابَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الأَيَّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَهُوَ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ يَوْمِ الأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ
২.অর্থ: আবু লুবাবা ইবন আব্দুল মুনযির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ জুম’আর দিন তো দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। কুরবানীর দিন ও ‘ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১০৮৪ মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং ১৩৬৩ হাদীসের মান: হাসান)
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَابْ
উত্তর প্রদানে- মো. রেজাউল করীম।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শায়েখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply