প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমার প্রশ্ন হলো, জুম’আর নামায কোন সময় আদায় করা উত্তম ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
জুম’আ আর যোহর নামাযের ওয়াক্ত একই সময়ে। অর্থাৎ সূর্য মধ্য আকাশ থেকে হেলে যাওয়ার পর থেকে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জুম’আর ওয়াক্ত বাকি থাকে। এই সময়ের ভিতরে যে কোন সময় জুম’আর নামায আদায় করা যায়। তবে জুম’আর নামায সব মৌসুমেই ওয়াক্ত হওয়ার পর বিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে আদায় করাটাই উত্তম।
عَنْ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْجُمُعَةَ إِذَا مَالَتِ الشَّمْسُ
১.অর্থ: আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর জুম’আর নামায আদায় করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯০৪ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ১০৮৪ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كُنَّا نُبَكِّرُ بِالْجُمُعَةِ وَنَقِيلُ بَعْدَ الجُمُعَةِ
২.অর্থ: আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রথম ওয়াক্তেই জুম’আর নামাযে যেতাম এবং জুম’আর পরে কাইলূলা (দুপুরের বিশ্রাম) করতাম। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯০৫ সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ১১০২ হাদীসের মান সহীহ )
সারমর্ম হলো জুম’আর নামায সব মৌসুমেই ওয়াক্ত হওয়ার পর বিলম্ব না করে সাথে সাথে আদায় করাটা উত্তম। যদি গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা হ্রাসের জন্য অপেক্ষা করা হয় তাহলে এটাই অনেকের জন্য কষ্টকর হবে। এজন্য রাসূল (ﷺ) যখনই সূর্য ঢলে যেত তখনই জুমআর নামায আদায় করতেন। শীত কিংবা গ্রীষ্মকালে কোন পার্থক্য করতেন না।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply