প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম! কোন কোন কারণে জামাত ত্যাগ করা জায়েয ? দলিলসহ জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
পুরুষদের জন্য জামাতে নামায আদায় করা ওয়াজিব এবং বিনা ওজরে জামাত ত্যাগ করা মারাত্মক গোনাহের কাজ। কিন্তু বিশেষ অসুবিধা বা ওজরের কারণে জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে। যেসব ওজরের কারণে জামাত ত্যাগ করা যায় সেগুলো নিম্মরূপ।
১.প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হতে থাকলে এবং কাপড়-চোপড় ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ فَقَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ . ثُمَّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ ذَاتُ مَطَرٍ يَقُولُ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ
অর্থ: নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ইবনে উমর (রা.) ঠাণ্ডা ও ঝড়ের রাতে আযান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেন, তোমরা (নিজ নিজ) আবাস স্থলেই নামায আদায় করে নাও। তারপর বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ)-ও বৃষ্টি ঠাণ্ডার রাতে মুয়াযযিনকে নির্দেশ দিতেন যেন সে বলে দেয় যে, তোমরা তোমাদের অবস্থানে নামায আদায় করে নাও। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪৭৩ সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬৩২ হাদীসের মান: সহীহ)
২. তীব্র শীতে মসজিদে গেলে রোগ হওয়ার বা রোগ বৃদ্ধির আশংকা থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُنَادِي مُنَادِيهِ فِي اللَّيْلَةِ الْمَطِيرَةِ أَوِ اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ ذَاتِ الرِّيحِ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ .
অর্থ: ইবন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বৃষ্টির রাতে অথবা বাতাসযুক্ত প্রচণ্ড শীতের রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ঘোষক ঘোষণা দিতেন যে, তোমরা তোমাদের আবাসস্থলে নামায আদায় করে নাও। (ইফা. সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৯৩৭ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪৭৩ হাদীসের মান: সহীহ)
৩. মসজিদে যাওয়ার পথে কাদা থাকলে এবং চলাচল কষ্টকর হলে ও জুতা-সেন্ডেল নোংরা হওয়ার আশংকা থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِمُؤَذِّنِهِ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ إِذَا قُلْتَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَلاَ تَقُلْ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ. قُلْ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ. فَكَأَنَّ النَّاسَ اسْتَنْكَرُوا، قَالَ فَعَلَهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي، إِنَّ الْجُمُعَةَ عَزْمَةٌ، وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أُخْرِجَكُمْ، فَتَمْشُونَ فِي الطِّينِ وَالدَّحْضِ
অর্থ: ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর মুয়াযযিনকে এক বর্ষণ মুখর দিনে বললেন, যখন তুমি (আযানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ বলবে, তখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলবে না, বলবে, ‘সল্লু ফী বুয়ুতিকুম’- তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামায আদায় করো। (এই আদেশ শুনে) লোকেরা অপছন্দ করল। তখন তিনি বললেন, আমার চাইতে উত্তম ব্যক্তিই (রসূলুল্লাহ (ﷺ)) তা করেছেন। যদিও জুম’আর নামায ফরয, তথাপি আমি তোমাদের কষ্টে ফেলা পছন্দ করি না যে, তোমরা কাদাযুক্ত পিছল পথ হেঁটে আসবে।(সহীহ বুখারী হাদীস নং ৯০১ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪৭৭ হাদীসের মান: সহীহ)
৪. অসুস্থতার কারণে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করা খুব কষ্টকর হলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ ” . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ ” لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلاَةُ الَّتِي صَلَّى
অর্থ: ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনে বিনা কারণে মসজিদে এসে জামাতে নামায আদায় করবে না। তার অনত্র আদায়কৃত নামায আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না (অর্থাৎ তার নামাযকে পরিপূর্ণ নামায হিসেবে গণ্য করা হবে না)। সাহাবীরা ওযর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যদি কেউ ভয়ভীতি ও অসুস্থতার কারণে জামাতে উপস্থিত হতে অক্ষম হয় তবে তার জন্য বাড়ীতে নামায পড়া দুষণীয় নয়। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৫৫১ সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬৭৮ হাদীসের মান: সহীহ)
৫. মনোযোগ নষ্ট হওয়ার মত পেশাব-পায়খানার প্রবল চাপ থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
عَنْ أَبِي حَزْرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، – قَالَ ابْنُ عِيسَى فِي حَدِيثِهِ ابْنُ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ اتَّفَقُوا أَخُو الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ – قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةَ فَجِيءَ بِطَعَامِهَا فَقَامَ الْقَاسِمُ يُصَلِّي فَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ يُصَلَّى بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلاَ وَهُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ
অর্থ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা আয়েশা (রা.) এর নিকট ছিলাম এমতাবস্থায় সেখানে খানা হাযির করা হল। তখন কাসিম নামায আদায়ের জন্য দণ্ডায়মান হলে আয়েশা (রা.) বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, খানা উপস্থিতির পর তা না খেয়ে এবং মলমুত্রের বেগ চেপে রেখে কেউ যেন নামায আদায় না করে। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৮৯ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১১২৮ হাদীসের মান: সহীহ)
৬. খুব ক্ষুধা অনুভব হলে এবং তৎক্ষণাৎ খাবার প্রস্তুত থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
قَالَ، سَمِعْتُ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” إِذَا وُضِعَ الْعَشَاءُ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ
অর্থ: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যখন রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, আর সে সময় নামাযের ইকামত হয়ে যায়, তখন প্রথমে খাবার খেয়ে নাও। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬৭১ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১১২৮ হাদীসের মান: সহীহ)
৭. জামাতে নামায পড়তে গেলে শত্রু কিংবা হিংস্র জন্তুর দ্বারা কোন প্রকার ক্ষয়-ক্ষতির ভয় থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
وَ لَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ اِلَی التَّہۡلُکَۃِ
অর্থ: আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। (সূরা বাকারা আয়াত নং ১৯৫)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ ” . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ ” لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلاَةُ الَّتِي صَلَّى
অর্থ: ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনে বিনা কারণে মসজিদে এসে জামাতে নামায আদায় করবে না। তার অনত্র আদায়কৃত নামায আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না (অর্থাৎ তার নামাযকে পরিপূর্ণ নামায হিসেবে গণ্য করা হবে না)। সাহাবীরা ওযর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যদি কেউ ভয়ভীতি ও অসুস্থতার কারণে জামাতে উপস্থিত হতে অক্ষম হয় তবে তার জন্য বাড়ীতে নামায পড়া দুষণীয় নয়। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৫৫১ হাদীসের মান: সহীহ)
৮. জামাতের সময় ঘুমের চাপ রোধ না করতে পারলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبُّ نَفْسَهُ ”
অর্থ: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ নামাযে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে যেন শুয়ে পড়ে যাতে তার ঘুম চলে যায়। কেননা, তোমাদের কেউ যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নামায আদায় করবে তখন এমন হতে পারে যে, সে ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাইবে, অথচ সে নিজেকে গালি দিয়ে বসবে। (দু’আ করতে গিয়ে বদ দু’আ করে ফেলবে।) (সহীহ মুসলিম হাদীস নং ১৭০৮ সহীহ বুখারী হাদীস নং ২১২ হাদীসের মান: সহীহ)
৯. ছতর ঢাকা পরিমাণ কাপড় না থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
অর্থ: হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ করো। আর খাও এবং পান করো। কিন্তু অপচয় করো না, নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ: আয়াত নং ৩১)
১০.বাড়ি থেকে মসজিদ পযন্ত পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে এবং বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকলে। জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে।
قَالَ أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ،، وَزَعَمَ، أَنَّهُ عَقَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَقَلَ مَجَّةً مَجَّهَا مِنْ دَلْوٍ كَانَ فِي دَارِهِمْ. قَالَ سَمِعْتُ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ الأَنْصَارِيَّ، ثُمَّ أَحَدَ بَنِي سَالِمٍ قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي لِقَوْمِي بَنِي سَالِمٍ، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنِّي أَنْكَرْتُ بَصَرِي، وَإِنَّ السُّيُولَ تَحُولُ بَيْنِي وَبَيْنَ مَسْجِدِ قَوْمِي، فَلَوَدِدْتُ أَنَّكَ جِئْتَ فَصَلَّيْتَ فِي بَيْتِي مَكَانًا، حَتَّى أَتَّخِذَهُ مَسْجِدًا فَقَالَ ” أَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ “. فَغَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ مَعَهُ بَعْدَ مَا اشْتَدَّ النَّهَارُ، فَاسْتَأْذَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَذِنْتُ لَهُ، فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى قَالَ ” أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكَ “. فَأَشَارَ إِلَيْهِ مِنَ الْمَكَانِ الَّذِي أَحَبَّ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ، فَقَامَ فَصَفَفْنَا خَلْفَهُ ثُمَّ سَلَّمَ، وَسَلَّمْنَا حِينَ سَلَّمَ.
অর্থ: মাহমুদ ইবনে রাবী’ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এর কথা তাঁর স্পষ্ট মনে আছে যে, তাঁদের বাড়ীতে রাখা একটি বালতির (পানি নিয়ে) নবী (ﷺ) কুলি করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি ইতবান ইবনে মালিক আনসারী (রা.) যিনি বনু সালিম গোত্রের একজন, তাঁকে বলতে শুনেছি, আমি নবী (ﷺ) এর কাছে গিয়ে বললাম, আমার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে এবং আমার বাড়ি থেকে আমার গোত্রের মসজিদ পযন্ত পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আমার একান্ত ইচ্ছা আপনি আমার বাড়িতে এসে এক জায়গায় নামায আদায় করবেন সে জায়গাটুকু আমি নামায আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট করে নিব। নবী (ﷺ) বললেন, ইনশাআল্লাহ্, আমি তা করব। পরদিন রোদের তেজ বৃদ্ধি পাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর (রা.) আমার বাড়ীতে এলেন। নবী (ﷺ) প্রবেশের অনুমতি চাইলে আমি তাঁকে অনুমতি দিলাম। তিনি না বসেই বললেন, তোমার ঘরের কোন স্থানে তুমি আমার নামায আদায় পছন্দ কর? তিনি পছন্দ মত একটি জায়গা নবী (ﷺ)কে নামায আদায়ের জন্য ইশারা করে দেখালেন। তারপর তিনি দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হলাম। অবশেষে তিনি সালাম ফিরালেন, আমরাও তাঁর সালামের সময় সালাম ফিরালাম। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৮৩৯ হাদীসের মান: সহীহ)
উপরোক্ত কারণগুলোর কারণে যদি মসজিদে গিয়েে জামাতে নামায আদায় করা সম্ভব না হয়। তাহলে জামাত ত্যাগ করা জায়েয আছে। তবে যথা সময়ে বাড়িতে একাকী নামায না পড়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে জামাতে নামায আদায় করা উত্তম। আর কেউ যদি একটু কষ্ট করে মসজিদে এসে জামাতে নামায আদায় করে। তাহলে তার জন্য এটাই অধিক উত্তম হবে।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- আবু সাঈদ।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply