প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম! কোনো কবর কিংবা মাজারকে সামনে রেখে নামায পড়া যাবে কি ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
কোন কবর কিংবা মাজারকে সামনে রেখে নামায আদায় করা হারাম। কারণ কবরকে সামনে রেখে নামায আদায় করা অনেকটা কবরকে সিজদা করার মতো। তাই কবরস্থানে অথবা সামনে কবর রেখে নামায আদায় করার অনুমতি নেই। তবে কবর কিংবা মাজারকে যদি দেওয়াল অথবা অন্য কোন কিছু দিয়ে আড়াল করা হয়। তাহলে নামায আদায় করতে কোন অসুবিধা নেই।
عَنْ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ تُصَلُّوا إِلَى الْقُبُورِ وَلاَ تَجْلِسُوا عَلَيْهَا
১.অর্থ: আবু মারসাদ আল গানাভী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি তোমরা কবরকে সামনে রেখে নামায আদায় করো না এবং কবরের উপর বসো না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৭২ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ১০৫০ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – وَقَالَ مُوسَى فِي حَدِيثِهِ فِيمَا يَحْسَبُ عَمْرٌو – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدٌ إِلاَّ الْحَمَّامَ وَالْمَقْبُرَةَ
২.অর্থ: আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ গোসলখানা ও কবরস্থান ব্যতীত সমস্ত জমীনই মসজিদ হিসাবে গণ্য (অর্থাৎ যে কোন স্থানে নামায পড়া যায়)। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৯২ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ৩১৭ হাদীসের মান: সহীহ)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَاتَلَ اللَّهُ اليَهُودَ، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ»
৩.অর্থ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইয়াহুদীদের ধ্বংস করুন। তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৭ হাদীসের মান: সহীহ)
উপরোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা জানতে পারলাম যে, কোন কবর কিংবা মাজারকে সামনে রেখে নামায পড়া জায়েয নয়৷ যদি নামায পড়ার মত অন্য কোন স্থান না থাকে অথবা অন্য কোন স্থানে গিয়ে নামায পড়ার মত সময়ও না থাকে। তাহলে সামনে কিছু দিয়ে আড়াল করে নামায পড়তে পারবে। তবে সময় সুযোগ থাকলে অন্য কোন স্থানে গিয়ে নামায পড়াই উত্তম।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- মুবাশ্বির আলী।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply