কখন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ ইত্যাদি বলতে হয় ?

আমাদের অনেকেরই ইসলামিক এই ছোট ছোট পরিভাষাগুলোর সঠিক ব্যবহার জানা না থাকার কারণে, মাঝে মধ্যে মানুষের সামনে ভীষণ ভাবে লজ্জিত হতে হয়। তাই আজকে আমরা কুরআন হাদীসের আলোকে এই পরিভাষাগুলোর সঠিক ব্যবহার জানবো। তাহলে আসুন আর কোন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক!

[১] কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে ‘নাউযুবিল্লাহ’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬৩৬২)

[২] ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শুভ সংবাদ শোনা হলে,কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা। (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৩৮০৫)

[৩] কারো হাঁচি আসলে ”আলহামদুলিল্লাহ” বলা । (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৩৭১৫)

[৪] কোন হাঁচি দাতার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা এর পর হাঁচিদাতা ইয়াহদী কুমুল্লহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬২২৪)

[৫] আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬২১৮)

[৬] কথা প্রসঙ্গে কোন গোনাহের কথা বলে ফেললে বা গোনাহের কথা মনে হলে ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ বলা। (সূরা মুহাম্মদ আয়াত নং ১৯)

[৭] ভবিষ্যতে কোন কিছু করব বললে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা। (সূরা কাহাফ আয়াত নং ২৩-২৪)

[৮] ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়,কোন কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৫৩৭৬ মুসনাদে আহমদ হাদীস নং ৮৭১২)

[৯] কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজিউন’ বলা। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৩১১৯)

[১০] ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৫৩৮১)

[১১] উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ২৯৯৩)

[১২] কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় স্লোগান দিলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬১০)

[১৩] কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন উপকার হলে তখন তাকে ‘জাযাকাল্লাহু খইরন’ বলা। ( সহীহ বুখারী হাদীস নং ৩৩৬)

[১৪] কোন কিছু জবাই করার সময় ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলা। (সূরা আনআম আয়াত নং ১২১)

[১৫] নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে ‘ওয়াল্লাহু আলাম’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৫৫৭০)

[১৬] কথা বার্তার আগে সালাম দেওয়া, এমনকি মোবাইলেও কথা বার্তা তথা হ্যালো বলার আগেই সালাম দেওয়া। (সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ২৬৯৯)

[১৭] সালামে শুধু ‘আসসালামু আলাইকুম’ বললে দশ নেকী, ‘ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বৃদ্ধি করলে বিশ নেকী এবং ‘ওয়া বারাকাতুহ’ সহ পুরো সালাম বললে ত্রিশ নেকী পাওয়া যায়। (সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ২৬৮৯)

[১৮] স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৬২১৮ সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ২৩১)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে উল্লেখিত শব্দগুলো যথা স্থানে ব্যবহার করার তাওফীক দান করুন,আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।

Share This Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *