আসর নামাযের আগে বা পরে কোন সুন্নত নফল নামায আছে কি ?

 

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম। মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন, আসরের ফরয নামাযের আগে বা পরে কোন সুন্নত নফল নামায আছে কি ?

উত্তরঃ

وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ

আসরের ফরয নামাযের আগে চার রাকাত সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা নামায রয়েছে। যা আদায় করা উত্তম কিন্তু পরিত্যাগ করলে গোনাহ নেই। কেউ চাইলে প্রতিদিন তা আদায় করতে পারে কারণ তাতে অনেক ফযীলত রয়েছে। আবার কেউ চাইলে এর সাথে অতিরিক্ত নফল নামাযও পড়তে পারবে। যেমন:- তাহিয়্যাতুল অযু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ ইত্যাদি এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আসরের ফরয নামাযের পর কোনো সুন্নত বা নফল নামায নেই। বরং আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল পড়া নিষিদ্ধ। অবশ্য জানাযার নামায এবং কাযা নামায পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَع

১.অর্থ: ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের ফরয নামাযের পূর্বে চার রাকাত (সুন্নত) নামায পড়বে আল্লাহ তা’আলা তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ১২৭১ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ৪৩০ হাদীসের মান: হাসান)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَعَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ‏

২.অর্থ: আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (ﷺ) আসর নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৫৮৪ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৮২৫ হাদীসের মান: সহীহ)

উক্ত হাদীস-সমূহের আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, আসরের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত নামায রয়েছে এবং এর অনেক ফযীলতও রয়েছে। তাই অবহেলায় উক্ত সুন্নত নামায ছেড়ে না দেওয়াই উত্তম। কিন্তু এই নামায যেহেতু সুন্নতে গায়রে মুওয়াক্কাদা তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে দিলেও গোনাহ হবে না। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বেশি বেশি করে সুন্নত ও নফল নামাযের ইহতিমাম করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- মুহাম্মদ মুবাশ্বির আলী।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।

Share This Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *