ইসলামে অযুর গুরুত্ব ও ফযীলত অপরিসীম। এ বিষয়ে হাদীসে বহু ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। নিম্মে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করা হলো।
(১) ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, পবিত্রতা ব্যতীত নামায কবুল হয় না এবং অবৈধভাবে অর্জিত মালের দান-খয়রাত কবুল হয় না। (ইফা. সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৪২৮ সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ১৩৯ হাদীসের মান: সহীহ)
(২) উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে, তার শরীর থেকে সমস্ত গোনাহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভিতর থেকেও (গোনাহ) বের হয়ে যায়। (ইফা. সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৪৭১ মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং ৪৭৬ হাদীসের মান: সহীহ)
(৩) আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, অযু করার কারণে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। কাজেই তোমরা যারা সক্ষম তারা অধিক উজ্জ্বলতাসহ উঠতে চেষ্টা করো। (ইফা. সহীহ বুখারী হাদীস নং ১৩৮ সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৪৭৫ হাদীসের মান: সহীহ)
(৪) আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দা অযুর সময় যখন মুখমন্ডল ধুয়ে ফেলে তখন তার চোখ দিয়ে অর্জিত গোনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায় এবং যখন সে দু’টি হাত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের স্পর্শের মাধ্যমে সব গোনাহ পানির অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে ঝড়ে যায়। অতঃপর যখন সে পা দু’টি ধৌত করে, তখন তার দু’পা দিয়ে হাঁটার মাধ্যমে অর্জিত সব গোনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে ঝড়ে যায়, এমনকি সে যাবতীয় (সগীরা) গুনাহ থেকে মুক্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। (ইফা. সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৪৭০ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং ২ হাদীসের মান: সহীহ)
(৫) উকবা ইবনে আমের আল-জুহানী (রা.) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন মুসলমান উত্তমরূপে অযু করে একাগ্রচিত্তে খালেস অন্তরে দুই রাকাত নামায আদায় করলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (ইফা. সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৯০৬ মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস নং ২৮৮ হাদীসের মান: সহীহ)
(৬) উসমান (রা.) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অযু করে নামায আদায় করবে, তার এই নামায ও পরবর্তী নামাযের মধ্যবর্তী সময়ের সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (ইফা. সহীহ মুসলিম হাদীস নং ৪৩৩ সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ১৪৬ হাদীসের মান: সহীহ)
Leave a Reply