প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম। গোসল ফরয হওয়া অবস্থায় আযান দেওয়া যাবে কি ?
উত্তরঃ
وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهْ
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
حَامِدًا وَّمُصَلِّيََا وَّمُسَلِّمًا أمّٰا بَعَدْ
আযান দেওয়ার জন্য পবিত্রতা শর্ত নয় সুতরাং
অযু ছাড়াও আযান দেওয়া যাবে। তবে পাক-পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়া উত্তম। কিন্তু গোসল ফরয অবস্থায় আযান দেওয়া মাকরূহ। কেউ ফরয গোসল না করে আযান দিলে পুনরায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব। তাই গোসল ফরয হলে নিজে আযান না দিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে আযান দেওয়ার ব্যবস্থা করা উত্তম। অথবা একটু বিলম্ব করে নিজে পবিত্র হয়ে আযান দেওয়া উচিত।
اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَیُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ
১.অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ্ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং যারা পাক-পবিত্র থাকে তাদেরকেও ভালোবাসেন। (সুরা বাকারা: আয়াত নং ২২২)
إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ عَلَى طُهْر
২.অর্থ: রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আমি পবিত্রতা অর্জন করা ব্যতীত আল্লাহ্ তাআলার নাম স্মরণ করা অপছন্দ করি। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ১৭ হাদীসের মান: সহীহ)
عن وائل بن حجر حقٌّ وسُنَّةٌ مسنونةٌ أن لا يؤذِّنُ إلّا وهوَ طاهرٌ، ولا يؤذِّنُ إلّا وهوَ قائمٌ
৩.অর্থঃ যে ব্যক্তি আযান দিবে সে যেন পবিত্র অবস্থায় ও দাঁড়িয়ে আযান দেয়। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ১/৩৯৭ হাদীসের মান: মুরসাল)
উল্লেখ্য আযান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন এবং খুবই ফযীলতপূর্ণ একটি আমল। তাই নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া কোনভাবেই উচিত নয়। সুতরাং মুয়াযযিনের গোসল ফরয হলে সে অন্য কাউকে দিয়ে আযান দেওয়াবে। অথবা নিজেই দ্রুত পবিত্রতা অর্জন করে আযান দেবে।
وَاللّٰهُ أعْلَمُ باِلصَّوَاب
উত্তর প্রদানে- ফজলে এলাহী সাঈদ।
শিক্ষার্থী: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
উত্তর নিরীক্ষণে: শাইখ রায়হান জামিল।
পরিচালক: মানহাল ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
Leave a Reply